কাঠের মেয়েটি এখানে আসেনি কো নিজে;
হঠাৎ সমুদ্রের ধারে পাথুরে নুড়ির ওপর তার হদিশ পেয়ে দেখি,
সমুদ্রের ভেজা ফুল লেগে আছে বেনো চুলে তার,
শরীরে লেগে আছে শেকড়ের বেদনার ছাপ।
ওখান থেকেই সে চেয়ে দেখে উন্মুক্ত জীবন,
বাঁচার ধুকপুক, চলে-যাওয়া অথবা ফিরে-আসা পা, পৃথিবীর মাটির ওপর,
এভাবেই আলোর পাপড়ি নুয়ে আসে সাঁঝের বেলায়।
আর কাঠের মেয়েটির, বেভুল পলক খোলা থাকে দৃষ্টিহীন।
সমুদ্রের ফেনীল মুকুট ঘেরা বালুময় তীর থেকে
তার ভঙ্গীল, বিপর্যস্ত চোখ নিয়ে দেখে সে, যেন
আমরা অন্য কোনো মুহূর্তের, ঢেউ-এর, শব্দের, বর্ষণের
ভুবনের অপর প্রান্তে থাকা, যেন উভয়ের মধ্যে আছে জালের দেয়াল,
কাঠের প্রতিমার তাই জানা নেই আমরা সত্যি কিনা,
নাকি অলীক স্বপ্ন নিছক। এই তো কাঠের মেয়ের সমগ্র গাথা।
-অনুবাদ: আনন্দময়ী মজুমদার
২০১৪/০৯/১১
(Figurehead of a Ship)
The girl made of wood didn't come here on foot;
suddenly there she was on the beach, sitting on the cobbles,
her head covered with old sea flowers,
her expression the sadness of roots.
There she stayed, watching over our open lives,
the moving and being and going and coming, over the earth,
as the day faded its gradual petals. She watched
over us without seeing us, the girl made of wood:
crowned by ancient waves, she looked out
through her shipwrecked eyes.
She knew we live in a distant net
of time and water and waves and noise and rain,
without knowing if we exist, or if we are her dream.
This is the story of the girl made of wood.
LXVIII, `100 Sonnets of Love', by Pablo Neruda
No comments:
Post a Comment